স্পোর্টস ডেস্ক: মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের জন্য জাতীয় ফুটবল দলকে মধ্যপ্রাচ্যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সৌদি আরব ও কাতার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েও যাচ্ছে বাফুফে। আলোচনার যে অগ্রগতি, তাতে সৌদি আরবেই হতে পারে জামাল ভূঁইয়াদের ক্যাম্প। গত বছর এই দেশেই ক্যাম্প হয়েছিল জাতীয় দলের।
কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য সৌদি আরব কোচ ক্যাবরেরারও পছন্দ। প্রায় দেড় মাস ছুটিয়ে কাটিয়ে শুক্রবার ঢাকায় ফিরেছেন কোচ। শনিবার গোপালগঞ্জ গিয়ে স্টেডিয়াম আবাহনী ও শেখ রাসেলের ম্যাচও দেখেছেন। রোববার তিনি বাফুফে ভবনে এসে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তখনই তিনি সৌদিতে ক্যাম্প করার ইচ্ছার কথা বলেছেন।
গত বছরের মার্চে সৌদি আরবে প্রায় তিন সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। অনুশীলনের পাশপাশি সেখানে আফ্রিকার দেশ মালাউইর সঙ্গে একটা ম্যাচও খেলেছিল বাংলাদেশ। দেশের বাইরে করা নিবিড় অনুশীলনের ফলও পেয়েছিলে বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল ওঠার পেছনে সেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প অনেক কাজ দিয়েছে বলেই মনে করেন সবাই।
সৌদি আরবে ক্যাম্প করার বিষয়ে ফুটবল ফেডারেশন কাজ করছে বলেও জানালেন এই স্প্যানিশ। ‘ক্যাম্পের পরিকল্পনা এখনও নিশ্চিত নয়। আমার পরিকল্পনা গত বছরের মতো এবারও দেশের বাইরে করা। এবং সৌদিকেই আমি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ গত বছর সৌদিতে করা ক্যাম্প সব কিছু বদলে দিয়েছিল। ফেডারেশন এ ব্যাপারে সেরাটাই চেষ্টা করবে। আশা করি দেশের বাইরেই ক্যাম্প করতে পারবো’-বলেছেন ক্যাবরেরা।
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে শেষ হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব। খেলোয়াড়দের কয়েক দিন বিশ্রাম দিয়ে হবে ক্যাম্প। এ বছর বাংলাদেশের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং বলছেন কাবরেরা, ‘গত বছর থেকে আমাদের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। এই দল নিয়ে সমর্থকরা গর্ব অনুভব করেছে। অবশ্যই এ বছর আরও চ্যালেঞ্জিং আমাদের জন্য। কারণ প্রতিপক্ষ আরও কঠিন। ফিলিস্তিন, লেবানন, অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। আমরা আগেই হাল ছাড়বো না। বড় কিছু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’